ক্লাইমেট অব কনকোয়েস্ট বইয়ের আদ্যোপান্ত

0
214

আয়শা জাহান, শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ, ঢাবিঃ

ভৌগোলিক পরিবেশের উপর নির্ভর করে মানুষের জীবনযাত্রা, আচরণ। যুদ্ধের ময়দানে রণকৌশলও থাকে ভিন্নতা। কিন্তু সাম্রাজ্য বিস্তারের ক্ষেত্রে ভৌগোলিক পরিবেশের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা তেমন একটা দেখা যায় না। সাম্রাজ্য বিস্তারের ইতিহাস পর্যালোচনা করতে গেলে যেসব কারণ আমরা সবসময় হাঁতড়ে বেড়াই তা হলো রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক এবং সামাজিক বিষয়াবলি। কিন্তু একটি সাম্রাজ্য বিস্তারে এসবের পাশাপাশি আরও একটি বিষয় প্রধান নিয়ামকের ভূমিকায় থাকে, সে বিষয়েই আগ্রহ ছিলো ইতিহাসবিদ প্রত্যয় নাথ এর।

Climate of conquest এমনই একটি গবেষণাধর্মী বই। প্রচলিত ধারার বিপরীতে গিয়ে তার এই কর্ম প্রশংসনীয়। Climate of conquest গ্রন্থটিতে মুঘল সাম্রাজ্যের উত্তর ভারতের আধিপত্য বিস্তারে ভৌগোলিক যেসকল বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয় এবং তার সাথে যে লড়াই ছিল সেগুলোকে তুলে আনার চেষ্টা করেছেন গবেষক। তবে এর সাথে বাংলা অঞ্চলেও মুঘলরা কিভাবে আধিপত্য বিস্তার করল তা জায়গা করে নিয়েছে। বিশাল গ্রন্থটির এই ক্ষুদ্র অংশটি নিয়েই বইয়ের রিভিউ করার ইচ্ছা।

বইটিকে হাতে নিয়ে প্রথমে যে লাইনটি চোখে পড়ে তা একটি বিখ্যাত উক্তি এবং এটি দিয়েই এই গ্রন্থের শুরু যা পাঠকের হৃদয়ে দাগ কাটার মতো “ those who seek an empire, the best dress is a coat of mail, and the best crown is a helmet, the most pleasant lodging is the battle field, the tastiest wine is the enemies blood and the charming beloved is the sword”-[Muhammad Baqir najim-i sani, mau`izah-i jahangir].

বইটির শুরুতে একটি ভূমিকা, শেষে একটি উপসংহার এবং ভেতরে মোট পাঁচটি অধ্যায় আছে। ভূমিকাতে লেখক পাঁচটি অধ্যায়ের মূল পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে এখানে তিনি যুদ্ধজয়ের ক্ষেত্রে পরিবেশের ভূমিকা, পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানো, আফগান অঞ্চল ও বেঙ্গল-আসাম অঞ্চলের পরিবেশ এবং সাম্রাজ্য বিস্তারের সাথে যুদ্ধের যে সম্পর্ক তা দেখানোর জন্য চারটি ধারার কথা উল্লেখ করেছেন।

তাছাড়া পুরো বইটিকে দুটো ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম দুটো অধ্যায় নিয়ে একটি অংশ এবং পরের তিনটি অধ্যায় নিয়ে একটি অংশ। এই ধারাবাহিক বর্ণনা গ্রন্থটিকে পাঠকের কাছে সহজবোধ্য করে তুলবে। প্রথম অধ্যায়ে মূলত উত্তর ভারতে সাম্রাজ্য বিস্তারের পরিবেশগুলো উঠে এসেছে। উত্তর ভরতে মালওয়া ও পাঞ্জাব অঞ্চলে মুঘলদের কি কি কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছিল তা দেখানোর চেষ্টা করেছেন লেখক। পাশাপাশি ভৌগোলিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার অবস্থানও এসব অঞ্চলের আবহাওয়াগত বৈচিত্রের জন্য দায়ী। তার সাথে গঙ্গা অববাহিকায় বিজয় এবং পানিপথের যুদ্ধে বিজয় লাভের পরে মুঘল সৈন্যের রণকৌশলের অবস্থা কেমন হয়েছিল তা উঠে এসেছে।

দ্বিতীয় অধ্যায়ে পূর্ব ও পশ্চিমে মুঘল সাম্রাজ্যের অগ্রসর হওয়ার বর্ণনা রয়েছে। মূলত ৬ টি অঞ্চলকে লেখক এখানে তুলে ধরেছেন। বেঙ্গল ডেল্টা, আসামের ব্রহ্মপুত্র অববাহিকা, সিন্ধু নদীর নিম্ন অববাহিকা, কাশ্মীর হিমালয়ের পাদদেশ, কান্দাহার এবং বলখ-বাদখশান। এই ছয়টি অঞ্চলে মুঘলরা কিভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে যুদ্ধ করে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করেছে তা লেখক একের পর এক বর্ণনা করে গেছেন।

তৃতীয় অধ্যায়ে মিলিটারি লেবারদের বর্ণনা রয়েছে। মুঘল যুদ্ধে প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত উভয় ধরনের সৈন্যের সমাবেশ ছিল। এক একটি যুদ্ধে কি পরিমাণ সৈন্য দৈনিক নিহত হত সে তথ্য তুলে এনেছেন। যুদ্ধে যেসব পশু ব্যবহৃত হত (যেমন- হাতি, ঘোড়া ষাঁড়, উট) তার ও উল্লেখ করেছেন। যুদ্ধের সময় খাদ্যের যোগান প্রক্রিয়া, রাস্তা তৈরি, সেতু তৈরি, নৌকা তৈরি এবং তথ্য আদান-প্রদান অর্থাৎ একটি যুদ্ধকে দ্রুত ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে যা যা প্রয়োজন ছিল তা উঠে এসেছে।

চতুর্থ অধ্যায়ে মুঘলরা কিভাবে নিজেদের সাম্রাজ্যের সীমানা নির্ধারণ করেছে এবং এসব সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য বিভিন্ন দুর্গম অঞ্চলে তাদের অভিযান পরিচালনা সম্পর্কে লেখক আলোচনা করেছেন। মুঘলরা এসব দুর্গম অঞ্চল জয় করে নিজেদের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করেছে। এসব অঞ্চলে প্রবেশের জন্য তাদের পথ পরিষ্কার করার প্রয়োজন পড়ত। এমনকি মীর কাসিম খাঁনও রাস্তা সমতল করার কাজে নিয়োজিত হয়েছিলেন। এই কাজগুলি সাম্রাজ্যবাদী সামরিক অভিযানের কেন্দ্রবিন্দুতে নিহিত ছিল। লেখক উল্লেখ করেছেন, ‘‘যোগাযোগের পথগুলি বারবার সামরিক প্রতিযোগিতার অন্যতম প্রধান স্থান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল।‘’ তাছাড়া এই পথগুলির উপর নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতা যুদ্ধক্ষেত্রে যে দূর্ভাগ্য বয়ে নিয়ে আসত তার বর্ণনা রয়েছে।

পঞ্চম অধ্যায়ে রাজনৈতিক মতাদর্শ পূর্ণ বিকশিত হয়েছে। রাজপদ সৃষ্টির কারণ, সর্বজনীন সম্রাট হিসেবে নিজেদের প্রস্তত করা অর্থাৎ সকল ধর্মের অনুসারীদের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা, বিচার প্রক্রিয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো ও জায়গা পেয়েছে। তাছাড়া সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য যুদ্ধ একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা হিসেবে দাঁড়িয়েছিল। এছাড়া আকবরের শাসনামলে গঠিত যুদ্ধগুলোর ন্যায্যতা প্রতিপান করা হয়েছে। যুদ্ধের নিয়ম আচার-আচরণ সম্পর্কেও এখানে আলোচনা করা হয়েছে।

সর্বশেষ উপসংহারে পাঁচটি অধ্যায়ের আলোচনাকে ছোট পরিসরে নিয়ে এসেছেন। তাছাড়া যুদ্ধ এবং রাষ্ট্রের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে সে দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। যা যা উল্লেখ করেছি তা এই বইটি সম্পর্কে বলতে গেলে কিঞ্চিৎ মাত্র প্রকাশ। পাঠকগণ বইটি পড়লে আরও অনেক অসাধারণ তথ্যের সম্মুখীন হবেন। পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ ব-দ্বীপ বাংলা অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি এমন আদলে সৃষ্টি হয়েছে যা কখনও বিষ্ময়কর, কখনও দূর্বিষহ, কখনও মনোমুগ্ধকর। বাংলা অঞ্চলে ঐশ্বর্য ও সম্পদে মুঘলরাও বিমোহিত ছিল। কিন্ত এখানে প্রবেশ করাও ছিল ঠিক ততটাই দুঃসাধ্য। কিন্তু মুঘলরা নিজেরে অপরাজেয় শক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিল। বাংলাকে নিজেদের কতৃত্বের মধ্যে আনার চূড়ান্ত প্রচেষ্টা মুঘলরে বিজয়ের মুকুট এনে দিয়েছিল।

লেখকের গবেষনায় বাংলাকে নিয়ে যে বিষয়গুলো উঠে আসে তা হলো- বাংলা এমন একটি ভৌগোলিক অবস্থানে অবস্থিত যেখানে অসংখ্য নদ- নদী রয়েছে এবং কিছু জায়গা ঘন বন-জঙ্গল দ্বারা বেষ্টিত। এই ঘন বন-জঙ্গল তাদের কাছে অপরিচিত ছিল। তারা বন কেটে রাস্তা তৈরি করেছে, নদী পারাপারের জন্য নৌকা তৈরি করেছে। অর্থাৎ মুঘল সৈন্যদের বাংলায় প্রবেশ করতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। মির্জা নাথানের আত্মজীবনী থেকেও এই ধরনের তথ্যের সন্ধান পাওয়া যায়। বাংলা অঞ্চলে প্রবেশের জন্য তাদের রণকৌশলেও বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়। যেমন মুঘলরা অশ্বারোহী বাহিনীতে পারদর্শী ছিল। কিন্তু নদী,বন্যা, কাদামাটির অঞ্চলে অশ্বারোহী বাহিনী ছিল অনেকটা অকার্যকর। তাই অশ্বারোহী বাহিনীর পরিবর্তে কামান ও বন্দুকধারী সৈন্যের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এখানে আরো একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে অশ্বারোহী বাহিনীরা সম্মুখ যুদ্ধ করে থাকে, কাছে এসে লড়াই করে। কিন্তু নদী প্রবণ এলাকায় জলাশয়গুলি প্রায় সবসময়ই বিরোধীপক্ষকে দূরে অবস্থান করে যুদ্ধ করতে সহযোগিতা করে থাকতো। ফলে কামান ও বন্দুক দিয়ে দূরবর্তী স্থানে থেকে মুঘলরা যুদ্ধ পরিচালনা করেছে।

তাছাড়া আরও খেয়াল করা যায়, যে বাংলায় পলি ও কাদামাটির প্রচুরতার কারণে এখানে মাটি দিয়ে তৈরি দূর্গ ব্যবহৃত যা মুঘলদের কাছে একদমই নতুন বিষয় ছিল। এই মাটির দূর্গগুলোকে সহজে ধ্বংস করা যেত না। লেখক বলেন, ‘‘এটি উত্তর ভারতের কেন্দ্রস্থলে মুঘলরা যে পাথরের দূর্গের মুখোমুখি হয়েছিল তার সম্পূর্ণ বিপরীতে দাঁড়িয়েছিল।”মুঘলরাও এই মাটির দূর্গের প্রশংসা করেছেন এবং নিজেরাও শত্রুদের মোকাবেলা করার জন্য এই দূর্গের ব্যবহার শুরু করেন। নদী ও বনের প্রাচুর্য মুঘল বাহিনীকে তাদের অভিযানে বিপুল সংখ্যক যুদ্ধ-হাতি মোতায়েন করতে উৎসাহিত করেছিল। সংখ্যা এবং কৌশলগত গুরুত্ব উভয় দিক থেকেই বাংলা অঞ্চলে উত্তর ভারতের অন্যান্য অংশের তুলনায় যুদ্ধ-হাতিদের একটি বড় প্রাধান্য দেখেছিল।

প্রত্যয় নাথ বলেন, ‘‘সামগ্রিকভাবে মুঘল সেনাবাহিনী একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভৌগলিক এবং সামরিক অভিযোজন ক্ষমতা দেখিয়েছিল।” লেখকের সুর ধরেই এখানে একটি ঘটনাকে টেনে আনতে ইচ্ছুক। মুঘলদের এই অভিযোজন ক্ষমতার যে বৈশিষ্ট ঠিক এমনই বৈশিষ্ট আমরা দেখতে পাই অটোমান সুলতানদের মাঝেও। ১৪৫৩ খ্রিষ্টাব্দ ২৯শে মে উসমানি সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল জয় করেন এবং এর মাধ্যমেই বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছিল। বাইজেন্টাইন শহরটির প্রায় ২০ কি.মি. দেয়াল দিয়ে ঘেরা ছিল। এটি ছিল সে সময়ের অন্যতম মজবুত দেয়াল। এটিকে ধ্বংস করা খুব সহজ কথা ছিলনা। কিন্ত সুলতান মাহমুদের বিশাল সেনাবাহিনীর, উন্নত কামান যা দিয়ে বহুদূর পর্যন্ত গোলা ছোড়া যেত, এসবের কাছে বাইজেন্টাইন সম্রাটের পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব হয় নি। সুলতান মাহমুদের যুদ্ধকৌশল ও সেনাবিন্যাস লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, সমুদ্রের দিক থেকে কনস্টান্টিনোপলকে অবরোধ করার জন্য তিনি একটি বিশাল নৌবহর গড়ে তোলেন। এদিকে কনস্টান্টিনোপলে নিয়োজিত বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ছিল সর্বমোট ৭ হাজার। তার মধ্যে ২ হাজার সৈন্যই ছিল বিদেশি। অপরপক্ষে উসমানীয় আর্কাইভের তথ্য থেকে জানা যায় যে, প্রায় ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার উসমানীয় সৈন্য এই যুদ্ধে অংশ নেয়। উসমানীয়দের পক্ষে এই দেয়াল ভেদ করে শহরের ভিতরে প্রবেশ করা চ্যালেঞ্জিং ছিল ঠিক যেমন ঘন বন-জঙ্গল আর নদীপথ অতিক্রম করে মুগলদের জন্য বাংলায় প্রবেশ করা কঠিন ছিল। কিন্ত উসমানীয়রা যেমন দেয়াল ভেদ করে ভিতরে প্রবেশ করার জন্য রাস্তার অনুসন্ধান করতে থাকে এবং সুড়ঙ্গ খনন করে ঠিক তেমনি মুগলরাও বন জঙ্গল সাফ করে রাস্তা তৈরি করেছেন। নদী অতিক্রম করার জন্য সেতু নির্মাণ, নৌকা চালানো তারা আয়ত্ত করেছে। উসমানীয়দের বিশাল সৈন্য বাহিনীর সামনে যেমন কনস্টান্টিনোপল টিকতে পারে নি তেমনি মুঘলদের বিশাল সামরিক ও নৌ বাহিনীর সামনে বাংলার শাসকদের পক্ষেও প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি।

এখানে যে বিষয়টি নাড়া দেওয়ার মতো তাহলো- অটোমানরা তুর্কি ছিলেন এবং মুঘলরাও তুর্কি বংশোদ্ভুত ছিলেন। এ দুটো ঘটনার মধ্যে গবেষক কি কোনো সংযোগসূত্র দেখতে পেয়েছিলেন? রাজার মনস্তাত্বিক ভাবনা, রণকৌশল, ইচ্ছাশক্তি, যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষমতা সৈন্যদের সাহস দেওয়া এগুলো একটি যুদ্ধ জয়ের পিছনে যে ভূমিকা পালন করে তাই কি প্রতিফলিত হয়েছে এই তুর্কিদের মধ্যে। বিপর্যয়কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করা কি মুঘলদের মানসিক বৈশিষ্ট্যের পরিচয়? বইটি মুঘলদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে লিখলেও এতে প্রকৃতির উপরই জোর দেওয়া হয়েছে। ইতিহাসের যে কোন যুদ্ধের ক্ষেত্রেই যে পরিবেশ প্রকৃতি একটি প্রধান মানদন্ড হিসাবে কাজ করে গ্রন্থটি তাই ভাবতে শিখাবে। এবং যুদ্ধ শুধু প্রতিপক্ষের সাথেই হয়না, যুদ্ধ হয় প্রকৃতির সাথেও সে বিষয়টিও উপলদ্ধির। তাই প্রকৃতি কখনো হয় শত্রু আবার কখনো হতে পারে বন্ধুও।

Previous articleআনু মুহাম্মাদ এর প্রিয় শিক্ষক
Next articleজ্ঞান ও দানের দুরবস্থা দেশের বড় সংকট

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here