সাইফুল ইসলাম, কলাপাড়া
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলাধীন নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সুলতানগঞ্জ গ্রামের একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুলতানগঞ্জ দাখিল মাদরাসা। প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছর পার হলেও এর শিক্ষকদের জন্য বেতন-ভাত কিংবা কোন ধরনের সরকারি-বেসরকারি সুযোগ সুবিধা চালু হয়নি। বিনা পারিশ্রমিকে এখানকার ১৫ জন শিক্ষক ও ২ জন কর্মচারী সেবা দিয়ে আসছে বর্তমানে। তাদের দাবি, বিভিন্ন বেতন-ভাতা নিশ্চিতসহ এমপিওভুক্ত করার।
জানা যায়, ১৯৮৬ সালে তৎকালীন আব্দুর রাজ্জাক খানের হাত ধরে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ২৮৯ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। অত্র অঞ্চলেও একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাদ্রাসার বেশ সুনাম রয়েছে। যদি গত ৩৬ বছরে কোন নির্দিষ্ট আয়ের উৎসও তৈরী হয়নি।
প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, বিনা পারিশ্রমিকে তারা দায়িত্ব পালন করে আসছেন৷ জাতি গঠনের তাড়নায় তাদের এমন প্রচেষ্টা। তবে কোন ধরণের বেতন ভাতা না থাকায় মৌলিক চাহিদা পূরণ ও পারিবারিক দায়বদ্ধতা এড়াতে আর্থিক অস্বচ্ছলতা তাদের প্রধান বাধা হিসেবে কাজ করে।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান মাওলানা নুর আলম বলেন, এ প্রতিষ্ঠানটিতো আমরা সবাই বিনা বেতনে দায়িত্ব পালন করে আসছি। তবে এভাবে একজন ব্যক্তি কতদিন চলতে পারে। শিক্ষক হয়ে মানবেতর জীবনযাপন সমাজের শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তাই প্রতিষ্ঠানটিকে খুব শীঘ্রই এমপিওভুক্ত করা উচিত।