জুবায়ের রহমান:
তৃতীয় লিঙ্গ। নামটা শুনলে আপনার অবচেতন মনে কি ভেসে আসে? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রেল স্টেশন, বাস স্টেশনে ভিক্ষাবৃত্তি, জিম্মি করে টাকা আদায় করা, চাঁদাবাজি করা অদ্ভুত আকৃতির কিছু মানুষের কথা। তারা বিয়ে বাড়িতে কিংবা নবজাতক শিশুর বাড়িতে গিয়ে টাকা আদায় করে। অন্য আট-দশটা মানুষের চাইতে চলনে-বলনে ব্যতিক্রম।
তৃতীয় লিঙ্গের এসকল মানুষেরা মূলত পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। বিচ্ছিন্নতার ফলে সামাজিক এবং পারিবারিক গ্রহণযোগ্যতার শেষ সম্বল টুকু হারিয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে এইসব কাজ করতে বাধ্য থাকে। আবার কখনো কখনো বাধ্য হয়ে যৌন ব্যবসার সাথেও যুক্ত হয়। সমাজে তাদের হিজড়া নামে ডাকা হয়।
ফলে সমাজের চোখে তারা খারাপ ও পাপের প্রতিচ্ছবি হয়ে দাড়িয়েছে। ছোট্ট শিশুর কোমল মনেও এসকল মানুষদের নিয়ে নেতিবাচক ধারনা লালিত হয়। এটুকু সত্য যে, তৃতীয় লিঙ্গের এসকল মানুষদের মধ্যে রূঢ় আচরনে সমাজের মানুষও তাদের প্রতি ত্যাক্ত বিরক্ত। বিষয়টি এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে সেখান থেকে মানুষের ফিরে আসার আর কোন উপায় নেই। অর্থাৎ পরিবর্তিত কোন ব্যবস্থা কিংবা উত্তরণের পদ্ধতি আমরা জানিনা।
কারা তৃতীয় লিঙ্গ?
তৃতীয় লিঙ্গ কি সেটা জানার আগে আমাদের জানা প্রয়োজন, লিঙ্গ পরিচয় কি? কারণ হিজড়ারা একটি লিঙ্গ পরিচয়ের বাহক। আমরা আমাদের সমাজের সাধারণত দুই ধরণের লিঙ্গের কথা শুনে থাকি। একটি হচ্ছে নারী আরেকটি হচ্ছে পুরুষ। এটি মানুষের জৈবিক পার্থক্যগত কারণে নির্ধারিত হয়ে থাকে।
অন্যদিকে হিজড়ারা তৃতীয় লিঙ্গের অধিকারী। তারা জন্মগতভাবে ক্রুটি নিয়ে জন্মায়। ট্রান্সজেন্ডার মানুষদেরও আমরা হিজড়া বলে থাকি। যদিও এই দুটির মধ্যে সূক্ষ পার্থক্য রয়েছে। ট্রান্সজেন্ডার বলতে বোঝায়, যাদের লিঙ্গ নির্ধারণ অস্পষ্ট তাদের বোঝানো হয়ে থাকে। অর্থাৎ নারী নাকি পুরুষ তা স্পষ্ট নয় তাকে ট্রান্সজেন্ডার বলা হয়ে থাকে।
উদাহরণ হিসেবে কোন বাচ্চা যদি পুরুষ লিঙ্গের হয়ে জন্মগ্রহণ করে, কিন্তু আচরণ, স্বভাব, দৈহিক গঠন, কণ্ঠস্বর নারীদের মতো হয়ে থাকে তবে ট্রান্সজেন্ডার বলে। অন্যদিকে লিঙ্গ যদি নারীদের মতো হয় কিন্তু বাকিসব পুরুষের মতো তাকেও ট্রান্সজেন্ডার বলা হয়ে থাকে।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় মানুষের ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম মানুষের আকৃতি প্রকৃতি ঠিক করে। এর মধ্যে ২২ জোড়া ঠিক করে একটি শিশুর সমস্ত বৈশিষ্ট্য আর একজোড়া ক্রোমোজোম ঠিক করে শিশু ছেলে না মেয়ে হবে।
বাবার কাছ থেকে আসা ক্রোমোজম XY এবং মায়ের কাছ থেকে আসে XX ক্রোমোজম। এই কম্বিনেশনে যদি জটিলতা সৃষ্টি হয় তাহলে সন্তান হিজড়া হয়ে থাকে। ছেলে প্যার্টানে XY এবং কন্যা প্যার্টানে XX হলেও হিজড়াদের প্যার্টান হয়ে থাকে XXY/ XYX/XYY ইত্যাদি প্যার্টানের ক্রোমোজম গঠন করে। ফলে লিঙ্গের দিক দিয়ে ছেলে হলে মেয়ের মতো আচরণ করবে, আবার মেয়ে হয়ে জন্মালে ছেলের মতো আচরণ করবে।
এক্ষেত্রে ভ্রুনের বিকাশকালে নিষিক্তকরণ ও বিভাজনের ফলে বেশকিছু অস্বাভাবিক প্যাটার্নের সৃষ্টি হতে পারে। যখনি এমনটা হয় তখনি শিশুর লিঙ্গ জনিত সমস্যার সৃষ্টি হয়। সে হয়তো সঠিক লিঙ্গ পায় না, অথবা পুরুষ লিঙ্গ পেয়েও পুরুষত্ব পায় না আবার নারী লিঙ্গ পেয়েও নারীত্ব পায় না।
তবে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে যদি আমরা দেখি, নবী মুহাম্মদ (স.) এর সাহাবী হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, হিজড়ারা জীনদের সন্তান। কোন এক বাক্তি আব্বাস (রাঃ) কে প্রশ্ন করেছিলেন এটা কেমন করে হতে পারে। জবাবে তিনি বলেছিলেন “আল্লাহ্ ও রাসুল (সাঃ) নিষেধ করেছেন যে মানুষ যেন তার স্ত্রীর মাসিক স্রাব চলাকালে যৌন সংগম না করে”, সুতরাং কোন মহিলার সঙ্গে তার ঋতুস্রাব হলে শয়তান তার আগে থাকে এবং সেই শয়তান দারা ঐ মহিলা গর্ববতী হয় ও হিজড়া সন্তান প্রসব করে।
তৃতীয় লিঙ্গের নিগ্রহ ও তাদের অধিকার
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তৃতীয় লিঙ্গের এসকল মানুষদের সাংবিধানিকভাবে মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করলেও বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ইসলাম ধর্মেও তাদের অধিকারের কথা বলা হলেও সেসব মানেন না মুসলিমদের অনেকে। বরং সামাজিক প্রেক্ষাগৃহে তাদের নিগ্রহ শুরু হয় পরিবার থেকেই। কারণ একটা ছেলে যখন মেয়েদের মতো আচরণ করতে শুরু করে, পরিবার ধরেই নেয় সে পাগল হয়ে গিয়েছে। ফলে মেয়েদের থেকে দূরে রাখতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা। অনেক সময় বদ্ধ ঘরে বন্দি করা রাখা হয়। এতে সমাজ থেকে সে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
আবার সমাজে চলতে গিয়ে মানুষের কটুকথা শুনতে হয়। সবাই তাকে এড়িয়ে চলে। ছেলে হয়ে মেয়েদের মতো আচরণ করার কারণে অনেকেই নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। এতে একটা সময়ে এসে সমাজের লোকেরা তাঁকে গালিগালাজ করে দূরে ঠেলে দেয়।
ফলে যেই ছেলেটা নিয়মিত স্কুলে আসা-যাওয়া করত, তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে নিজেকে আবিষ্কার করার পর ক্লাসের শিক্ষক, সহপাঠীরাও তাকে এড়িয়ে চলে। তার সাজগোছ করতে ভালো লাগে। মেয়েদের মতো করে কথাবার্তা, আচার-আচরণ তার স্বভাবে পরিণত হয়। হিজড়াদের নিয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকায় প্রচলিত নেতিবাচক চিন্তাভাবনা এখানে এসে ভীড় করে। পরিবার সমাজের কটু কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে যায়। ফলে একটা সময়ে এসে পরিবার বাধ্য হয়েই তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।
সমাজ ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে একটা সময়ে এসে সে পরিবার থেকে পালিয়ে যায় এবং ভিন্ন সংস্কৃতিতে নিজেকে মানিয়ে নেয়। আবার অনেক সময় পরিবারই তৃতীয় লিঙ্গের সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
অন্যদিকে মেয়েরা যারা ছেলেদের মতো আচরণ করে তারা ছেলে বন্ধুদের সাথে মিশতে গিয়ে ধর্ষনের শিকার হোন। ফলে একটা সময়ে এসে তারা যৌন ব্যবসাতেও লিপ্ত হয়ে পড়ে।
প্রচলিত আইন ও শারীরিক জটিলতার কারণে হিজড়ারা কখনো বিয়ে করতে পারে না। কারণ একটা হিজড়ার চলনে মেয়েলি স্বভাব থাকলেও দৈহিক গঠনে ছেলে। ফলে বিপরীত লিঙ্গের প্রতিক্রিয়ায় ছেলে হয়ে ছেলের প্রতি আকর্ষণ লাভ করে। যা রাষ্ট্রীয় আইন ও ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে মানসিক পরিবর্তন এনে বিয়ে করতে পারে।
শারীরিক গঠন অনুযায়ী পৃথিবীতে মোট চার ধরনের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ দেখা যায়।
-
পুরুষ (তবে নারীর বেশে চলে) তাদের আকুয়া বলা হয়। এরা মেয়েদের বিয়ে করতে পারে।
- নারী (নারীর বেশে চলে, তবে দাড়ি-মোঁচ আছে)। তাদের জেনানা বলা হয়। তারা ইচ্ছা করলে পুরুষের কাছে বিয়ে বসতে পারে।
- লিঙ্গহীন (বেশে যাই হোক)। আরবিতে তাদের ‘খুনসায়ে মুশকিলা’ বলা হয়। এই শ্রেণির আসলে কারা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন অভিজ্ঞ চিকিৎসক।
- কৃত্তিমভাবে যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে বানানো। তাদের খোঁজা বলা হয়। যৌন অক্ষমতার দরুণ তারা বিয়ে করতে পারে না বা বিয়ের পিঁড়িতে বসতেও পারে না। উল্লেখিত চার ধরনের মাঝে আকুয়া এবং জেনানাদের লিঙ্গ নির্ধারণ দৃশ্যতঃ সম্ভব হলেও এদের অনেকের লিঙ্গ অক্ষম কিংবা জননে ব্যর্থ। সেক্ষেত্রে তাদের জন্য বিয়ে হারাম।
তৃতীয় লিঙ্গের এসকল মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে নিজেদের লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে। নজরুল ইসলাম নামে একজন ব্যক্তির নামের পাশে সামাজিক প্রেক্ষাপটে ‘হিজড়া’ শব্দটি উল্লেখ থাকলেও বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রে তাকে লিঙ্গ বেছে নিতে হয় পুরুষ নাকি মহিলা। বিগত কয়েক বছর আগে তাদের ভোটাধিকারও ছিল না।
পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন এসকল মানুষ কখনো পিতামাতা কিংবা ভাইবোনের কাছে যেতে পারে না। তাদের মৃত্যুর সময়ে তাদের যেতে দেওয়া হয় না। সমাজে তাদের একটি পাপী মানুষ হিসেবে দেখা হয়। মানুষের আচার-আচরণ ও অঙ্গভঙ্গি এমন যেন কোন অকল্যাণ নিয়ে এসেছে। অথচ শারিরীক ও মানসিক এমন পরিস্থিতির জন্য তারা নিজেরা দায়ী নয়।
ইসলাম ধর্ম ও বাংলাদেশের আইন অনুসারে সম্পত্তির উত্তরাধিকার পাওয়ার অধিকার তাদের আছে। অথচ তাদের সম্পত্তির কোন ভাগ দেওয়া হয় না। তাছাড়া বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে তারা আর কখনো বাবা মায়ের কাছে চাইলেও ফিরে আসতে পারে না। আবার লিঙ্গ পরিচয় কি হবে সেটা নিয়েও পরিবারে তুলোধুনা চলে। তাদের লিঙ্গ পরিচয় ছেলে নাকি মেয়ে নির্দিষ্ট না হওয়ায় সম্পত্তির ভাগ দিতে ভাইবোনোর ইচ্ছুক না। বাবা মায়েদের মতে, তারা সম্পত্তির ভাগ দিয়ে কি করবে?
১৯৬১ সালের মুসলিম উত্তরাধিকার আইন বাংলাদেশে কার্যকর রয়েছে। সেই আইনে হিজড়াদের সম্পত্তির ব্যাপারে সুস্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
“মুসলিম উত্তরাধিকার আইনে সন্তানদের কথা বলা হয়েছে। সন্তান মানে পুত্র এবং কন্যারা সম্পত্তির ভাগ পাবেন। বাংলাদেশে বিদ্যমান এই আইনে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের ব্যাপারে সুস্পষ্ট করে বলা নাই। তবে বিভিন্ন দেশে ইসলামী আইন বিশারদরা তাদের সম্পত্তির ভাগ দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন এবং অনেক দেশে তা অনুসরণও করা হয়।”
“পাকিস্তানের একটা প্রদেশে ইসলামী আইন বিশারদরা গবেষণা করে একটা ফতোয়া দিয়েছেন, যে তৃতীয় লিঙ্গের সন্তানদের মধ্যে পুরুষ ভাবটা প্রবল, তাদেরকে পুরুষ সন্তান হিসাবে বিবেচনা করতে হবে। আর যাদের মাঝে নারীর স্বভাব বেশি, তাদের কন্যা সন্তান হিসাবে বিবেচনা করতে হবে। এমন লক্ষণ বিবেচনা করে উত্তরাধিকার আইনে সম্পত্তির ভাগ সেখানে হয়।”
তৃতীয় লিঙ্গ কীভাবে নির্ধারিত হবে কিংবা তাদের সম্পত্তির শ্রেণীবিন্যাস প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে। হজরত আলী (রা.) হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে প্রসূত বাচ্চা পুরুষ-নারী নির্ধারণ করতে না পারলে তার বিধান কি- জিজ্ঞাসা করলেন। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) জবাব দিলেন, সে মিরাস পাবে যেভাবে প্রস্রাব করে। (সুনানে বায়হাকি কুবরা, হাদিস: ১২৯৪, কানজুল উম্মাল, হাদিস: ৩০৪০৩, মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক, হাদিস: ১৯২০৪)
আবার হিন্দু ধর্মাবলম্বী, খৃস্টান এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উত্তরাধিকারের প্রশ্নে কিছু বিধি বাংলাদেশে কার্যকর রয়েছে। কিন্তু সে সব ধর্মেও তাদের সম্পত্তির অধিকারের ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু বলা নাই। কারণ হিন্দুধর্মে মেয়েরা বাবার সম্পত্তি পায় না।
কর্ম করে বেচে থাকতে চাইলেও তারা সেটা পারেন না। কারণ প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন তাদের দিয়ে কাজ করাতে চায়না, আবার তাদের সাথে যারা কাজ করবে তারাও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। এতে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা তাদের পক্ষে হয়ে উঠে না। ফলে ভিক্ষাবৃত্তি, চাঁদাবাজি ও যৌন ব্যবসা করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়।
সামাজিকভাবে তাদের কোন প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না, ঠিক তেমনি সামাজিক কোন অনুষ্ঠানে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয় না। এমনকি তাদের কেউ অপমান অপদস্থ করলেও সমাজের কোন বিবেকবান মানুষরা তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় না। উল্টো কটাক্ষ করতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে, সমাজের একটি শ্রেণি তাদের মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করে না।
তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতাও দেখা যায় না। চিকিৎসকরা তাদের ফি নিলেও সেবা দিতে ইচ্ছুক হয় না। আবার মেডিকেলে ভর্তি হলেও নার্সরা ভাল ব্যবহার করে না। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনে তাদের সমান অধিকার থাকলেও ধর্মীয় শিক্ষা ও উৎসবে প্রতিবারই তারা পিছিয়ে। কারণ সমাজ তাদের সেই সুযোগটুকুও দিচ্ছে না। নিজেরা নিজেরা আলাদা কমিউনিটি গড়ে তুলে সেখানেই তারা একটি পৃথিবী গড়ে তুলেছে। বাইরের জগত তাদের কাছে অন্ধকার। তবে দিনশেষে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে হিজড়া শব্দটি একটি গালি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর এভাবে গালি শুনেই বছরের পর বছর তাদের জীবন সংগ্রামে পিছিয়ে পড়ছে।