28 C
Dhaka
Saturday, June 28, 2025

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়ন জরুরি

Must read

তানভীর হোসাইন:

একটি জাতিকে তার মেরুদন্ডে ভর করে দাঁড়াতে হলে প্রধানত তাদের শিক্ষা-দীক্ষায়, গবেষণায়, নতুন আবিস্কারে এবং সামগ্রিক চেতনায় উন্নত হতে হয়। অর্থাৎ যেভাবে আমরা মাধ্যমিকের বাংলা ২য় পত্রে ‘শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড’ এ বিষয়ে একাধারে বিশ্লেষণ এবং রচনা লিখে এসেছি। সেটিকে শুধুমাত্র বই এবং পরীক্ষার খাতায় সীমাবদ্ধ রাখার কোন সুযোগ নেই। বরং শিক্ষার প্রায়োগিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করে স্বীয় মেরুদণ্ডে প্রতীয়মান হওয়ার সময় এসেছে। প্রাথমিকভাবে বলতে গেলে জাতিগত উন্নতিতে শিক্ষা একটি অপরিসীম পর্ব হিসেবে বিবেচিত। সঠিক বা সত্যিকার শিক্ষা না-থাকলে কিংবা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ‘অশিক্ষিত’ হয়ে পড়লে জাতি কোনো দিনই মাথা সোজা করে দাঁড়াতে পারে না।’ 

কিন্ত আমরা চিরাচরিতভাবে শিক্ষার প্রচার প্রসারের সাথে উন্নত এবং যথোপযুক্ত শিক্ষার প্রয়োগের বিষয়ে জাতিগতভাবে তেমন সচেতন নই। অর্থাৎ শিক্ষাব্যবস্থার মেরুদন্ডই যদি ত্রুটিপূর্ণ হয়, তাহলে সেটির উপর ভর করে নতুন আবিস্কার কিংবা পৃথিবীর কর্তৃত্ব গ্রহণের চিন্তাটি অমূলক হবার কথা। যদিও আমরা এমন এক শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, যেখানে মুখস্থ বিদ্যার কদর সবচেয়ে বেশি। শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পেরেছে সেটিকে বিবেচনায় না নিয়ে মুখস্থ করতে তাদের প্রতিযোগিতায় নামিয়ে দিতে দেখা যায়। ফলে এই ব্যাবস্থায় চাক্ষুষ অগ্রগতি এবং শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেলেও বস্তত এই অগ্রগতির গোড়ায় ভাঙা। কারন সৃজনশীলতার চর্চা ছাড়া নতুন জ্ঞানের উদ্ভব অসম্ভব। 

প্রাথমিক, মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা বা বিশ্ববিদ্যালয় এই কয়েকটি স্তরবিশিষ্ট বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা। ১ম থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক ও ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ পর্যায়কে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তর হিসেবে ধরা হয়। এখানে শিক্ষার্থীদের ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত একই বিষয় পড়ানো হয়ে থাকে। তবে ৯ম শ্রেণীতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এই তিন স্তরে শিক্ষা কার্যক্রমকে বিভক্ত করা হয়। যদিও আমাদের পাঠক্রমে সৃজনশীলতা, টেকনিক্যাল ও যৌক্তিক ‍বিদ্যার পরিবর্তে মুখস্থ বিদ্যার দিকে জোর দেয়া হয় তুলনামূলক বেশি।

তাছাড়া মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে ধারাবাহিক মূল্যায়নের চেয়র সামষ্টিক মূল্যায়নের ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। যেখানে উন্নত বিশ্বের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধারাবাহিক মূল্যায়নের দিকে বেশি মনোনিবেশ করে। অর্থাৎ আমাদের সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থাটি মূলত মুখস্থ বিদ্যার দিকে তাড়িত করে এবং পরীক্ষায় বমি করার মতো খারাপ অভ্যাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত। 

একজন শিক্ষার্থীকে ধারাবাহিক ও সামষ্টিক এই দুই উপায়ে মূল্যায়ন করা যেতে পারে। বছরের শেষে ও মাঝে পরিক্ষার মাধ্যমে মূল্যয়নকে সামষ্টিক মূল্যয়ন ও পুরো বছর জুড়ে বিভিন্ন  এসাইনমেন্ট, ক্লাসে পারদর্শিতা ,কুইজ, প্রকল্প,ব্যবস্থাপনা ক্লাস টেস্ট ইত্যাদির মাধ্যমে মূল্যায়নকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন বলা হয়।

যেখানে উন্নত বিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষেত্রে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে ধারাবাহিক মূল্যায়নকে বেশি গুরোত্বারোপ করা হয় যেটি একজন শিক্ষার্থীকে মানসিকভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। 

যদিও বর্তমানে নতুন সংস্করণে কিছুটা ধারাবাহিক মূল্যায়নের দিকে ঝুঁকেছে শিক্ষাব্যবস্থা। কিন্তু বিগত সময়গুলোতে সামষ্টিক মূল্যায়নের দিকে জোর দেয়া হতো তুলনামূলক বেশি।

বর্তমানে সভ্যতার নিদর্শন খ্যাত ৫৪ লক্ষ্য জনসংখ্যা এবং ৯৯ শতাংশ শিক্ষার হারের দেশ ফিনল্যান্ড। প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তে সেখানে সহোযোগিতামূলক শিক্ষা দানের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী ফলনির্ভর পড়াশোনার পরিবর্তে আত্ম-উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষা অর্জনকে গুরুত্ব দিতে শিখে। যার ফলস্বরূপ শিক্ষার্থীদের মাঝে দক্ষতা ও কর্মস্পৃহার পরিমাণ বেশি লক্ষ্য করা যায়। 

ফিনিশয় শিক্ষাবিদরা মনে করেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার চেয়ে বন্ধু, পরিবার ও সমবয়সীদের সঙ্গে সামাজিকীকরণের শিক্ষা অধিক জরুরি। তাই তাদের প্রথমিক শিক্ষার পূর্বে ১ বছর সামাজিকীকরণ শেখানো হয়। ৭ থেকে ১৬ বছরের শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা নিতে হয় এবং এই সময় শিক্ষার্থীদের ভাষা, গণিত, সামাজিক বিজ্ঞান, সাধারণ বিজ্ঞান, সংগীত, চিত্রকলার ওপর শিক্ষা দেওয়া হয়। যার ফলে একজন শিক্ষার্থী গড়ে তিন থেকে ৪ টি ভাষা আয়ত্ত করে ফেলে শিক্ষা জীবন শেষ করার পূর্বেই। 

যেখানে ১৭-১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের বাধ্যাতামূলক উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা নিতে হয়। তাদের শিক্ষাব্যবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিক স্তরকে ট্রেডিশনাল ও ভোকেশনাল এই দুটি ভাগে ভাগ কারা হয়। উচ্চ শিক্ষাগ্রহণে আগ্রহীরা ট্রেডিশনাল উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হয়। আবার দ্রুত কর্মসংস্থানের প্রতি আগ্রহীরা ভোকেশনাল শিক্ষায় ভর্তি হয়। তবে ৮৩% শিক্ষার্থী ভোকেশনাল শিক্ষার দিকে ঝুকে থাকে দ্রুত কর্মসংস্থানের আশায়। ট্রেডিশনাল শিক্ষায় ভাষা, উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীব বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞানে দক্ষ হয়ে ওঠার উপযোগী শিক্ষা দেওয়া হয়। 

আমরা যদি জাপানের শিক্ষাব্যবস্থার দিকে লক্ষ্য করি, তারা শিক্ষাব্যবস্থাকে ৫টি স্তরে ভাগ করেছে। স্কুল পর্যায়ে ৩-৫ বছর, প্রাথমিক ৬-১১ বছর, জুনিয়র হাইস্কুল/মিডল স্কুলে ১২-১৪ বছর এবং সিনিয়র হাইস্কুলে ১৫-১৭ বছরের ছেলে-মেয়েরা শিক্ষা নেয়। পরবর্তিতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২-৪ বছর মেয়াদি কোর্সে ভর্তি হয়।

তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, সেখানে স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের জীবনমুখী শিক্ষা দেওয়া হয়। যেমন, শিক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করা অপরকে সহোযোগিতা করা ইত্যাদি। 

তাছাড়া শিশুদেরকে সামাজিকতা, ন্যায়-অন্যায়, অপরাধবোধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, শৃঙ্খলা ইত্যাদি শেখানো হয়। সবচেয়ে মজার বিষয় হল, যেই সময়টাতে পৃথিবীজুড়ে দিনদিন অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে সেখানে জাপানে অপরাধ প্রবণতা শূণ্যের কোটায়। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে জাপানি ভাষা, গণিত, ইতিহাস, শরীরচর্চা, সংগীত ও শিল্প, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বিজ্ঞান, অংকন বিদ্যা, নৈতিক শিক্ষা ইত্যাদি শিখানে হয়। তাদের শিক্ষাব্যবস্থা সরাসরি শিক্ষামন্ত্রণালয়ের অধিনে তৈরি কৃত ‘ল’ এর ভিত্তিতে তৈরি হয় যার কারণে দেশটিতে কোনো শিক্ষাবোর্ড নেই।

এছাড়াও উন্নত দেশগুলোতে শিক্ষকদেরকে শৈশব, প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকতার উপর কেন্দ্র করে পরিচর্যা করা হয়। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল অফ এডুকেশন বা ফ্যাকাল্টি অফ এডুকেশন বা গ্রাজুয়েট স্কুল অফ এডুকেশন নামক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে। যেখানে একজন শিক্ষার্থী কি শিখছে সেটির থেকে কিভাবে শিখছে তার উপর বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়। সে অনুযায়ী শিক্ষকদের তৈরি করা হয়ে থাকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়। পাশাপাশি শিক্ষকদেরকে শিক্ষকতার জন্য লাইসেন্স বা সনদ প্রদান করা হয় যার ভিত্তিতে তারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পায়। এমনকি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের  বেতন ও সম্মানে তেমন কোন পার্থক্য নেই।

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে অভিভাবকদের মাঝেও রয়েছে নানা ধরণের ভাবনা। অনেকের মতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথ পাঠদানে ব্যর্থ হচ্ছে। তাদের মতে, একজন ছাত্রকে অনেক বিষয়ে একই সাথে পড়তে হয় যার বাস্তবিক জীবনে তেমন প্রয়োগ নেই। পাশাপাশি ক্রমান্বয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়ার চাপ বাড়ায় একজন শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানে পাঠদানের পাশাপাশি হাওজ টিউটেরর কাছেও পড়তে হয়। কিংবা বিভিন্ন কোচিং সেন্টারেও ধরণা দিতে হয়। এতে শিক্ষার্থীকে সার্বক্ষণিক মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এতে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয় বলে অভিভাবকদের অভিযোগ রয়েছে। 

এক্ষেত্রে সমাধানের পন্থা হিসেবে অভিভাবকদের মতামত জানতে চাওয়া হলে তারা জানান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আরো সোচ্চার হওয়া দরকার যাতে করে শিক্ষার্থীরা যা শিখবে সেগুলোর বাস্তব জীবনে থাকে। তার পাশাপাশি পাঠদানে শিক্ষকদের উচিত আনন্দ সহকারে শিক্ষা প্রদান করা। যেন শিক্ষার্থীরা ক্লাসের মধ্যে মনোযোগ সহকারে ক্লাসের পড়া আয়ত্ত করতে পারে। তার পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তনের কথাও বলেছেন অনেক অভিবাবক। 

আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি প্রাসঙ্গিক শিক্ষা কারিকুলামের অভাব রয়েছে। যেখানে একজন শিক্ষার্থী শুধুমাত্র  মুখস্থ বিদ্যার উপর নির্ভর করে শিক্ষাজীবন শেষ করছে।  তাছাড়া পাঠ্যসূচির সমন্বয়হীনতা একটি বড় ধরনের সমস্যাস্যা। যেখানে একজন ছাত্র যে ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠার কথা ছিল তা যথাযথভাবে পাচ্ছে না।  পাঠ্যসূচিতে  এখনো উপনিবেশিকতার ছাপ রয়ে গেছে। যার ফলে আমরা আমাদের পাঠ্যসূচিতে দেশীয় ইতিহাস ঐতিহ্যের পরিবর্তে পশ্চিমা গল্পকাহিনী বেশি রেখেছি।

তাই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় দরকার আমূল পরিবর্তন। শিক্ষার উপাদান, শিক্ষণ (টিচিং), শিখন (লার্নিং) ও মুল্যায়ন (অ্যাসেসমেন্ট) এই তিন পদ্বতির উপর গঠিত হয়। মূল্যায়নের মাধ্যমেই জানা যায় কি পরিমাণ শিক্ষণ ও শিখন হচ্ছে একজন ছাত্রের। 

তাই দেশের শিক্ষা খাতের উন্নতি করতে হলে  শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক মান উন্নয়নের জন্য সরকারি, বেসরকারি এবং ব্যক্তিগতভাবে কিছু উদ্যোগ নেয়া অতিব জরুরি। এক্ষেত্রে সরকার এবং শিক্ষকদের  সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে একটি বাস্তবিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করা দরকার যার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী শুধু পুঁথিগত বিদ্যার ভিতরেই সীমাবদ্ধ না থেকে সেটাকে বাস্তবে কাজে লাগানোর যোগ্যতাসম্পন্ন ছাত্র হিসেবে গড়ে উঠবে।

 পাশাপাশি একজন শিক্ষার্থীকে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিষয়ে জানার সুযোগ তৈরি করে দেয়া। যার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী  নিজের দেশ, সংস্কৃতি, পূর্বপুরুষদের কৃত্বির্ত সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা অর্জন করতে পারবে। আর এই লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করতে হলে শিক্ষাখাতের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে  হবে এবং এই খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে। আর এই  বিনিয়োগের ফল আসবে ধীরে ধীরে।

অর্থনীতিবিদরা শিক্ষা খাতে বিনিয়োগকে সবচেয়ে লাভজনক বিনিয়োগ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অর্থনীতিবিদ এডাম স্মিথ বলেছিলেন ”শিক্ষা এমন একটি খ্যাত যার কাজ হলো দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলে পুজির সঞ্চালন ঘটানো”। অর্থনীতিবীদ আর্থার গুলজ এক পরিসংখ্যানে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন যে, প্রাথমিক শিক্ষায় বিনিয়োগ করা সম্পদের সুফল ফেরত আসে ৩৫ শতাংশ,  মাধ্যমিক শিক্ষায় ২০ শতাংশ এবং উচ্চশিক্ষায় ১১ শতাংশ।  শিক্ষাখাতের অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করার জন্য রবার্ট সলো এবং আর্থার গুলজ অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তাই শিক্ষাখাতে বাজেট বারাদ্দ করে জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখা দরকার। সেই হিসেবে গত অর্থবছরে (২০২১-২২) প্রথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ছিল ৭১ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮১বহাজর ৪৯৫ কোটি টাকা করা হয়েছে যা গত অর্থ বছরের তুলনায় ৯ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা বেশি।

পরিশেষে একজন চীনা দার্শনিক ও শিক্ষবিদের কথা বলে শেষ করছি। তিনি বলেন, ‘তুমি যদি কম সময়ের মধ্য ফল পেতে চাও তবে মৌসুমী ফসলের চাষ কর, যদি দীর্ঘ মেয়াদী ফল পেতে চাও তবে ফলবান বৃক্ষ রোপণ কর এবং যদি সারা জীবণের জন্য ফল পেতে চাও তবে মানুষের চাষ কর।”

লেখক: শিক্ষার্থী, লোক প্রশাসন বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

- Advertisement -spot_img

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest article