মুতাসিম বিল্লাহ:
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল স্কুলে ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহার করে হার্টের ব্লক খুঁজে বের করে তা অপারেশন ছাড়াই গলিয়ে ফেলা নিয়ে কাজ করছেন বাংলাদেশের নুরুন্নবী। গবেষণা সফল হলে এ প্রযুক্তির মাধ্যমে একজন রোগীর শরীরে কয়টা ব্লকেজ আছে তা বিনা অপরেশনেই গলিয়ে ফেলা যাবে। চিকিৎসার ফলে সবগুলো ব্লকেজ সরিয়ে ফেলা হয়েছে কিনা তাও বলে দেবে এ আবিষ্কার। এর পাশাপাশি তিনি আরও একটা প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন। ক্যান্সারের রোগীদের কেমো দেওয়ার পরে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তার মধ্যে অন্যতম শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা, এতে অনেক সময় রোগী ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেলেও ফুসফুসের সমস্যায় মারা যায়।
‘আমরা কাজ করছি কেমো দেওয়ার পরে রোগীর ফুসফুসকে ক্ষতির হাত থেকে কিভাবে রক্ষা করা যায়। যাতে ক্যান্সার সারবে কিন্তু ফুসফুসের কোনো ক্ষতি হবে না। সাময়িক ক্ষতি হলে তা সারিয়ে ফেলার প্রতিষেধক দেওয়ার বিষয়ে। যেন দিতে পারি।’ বলছিলেন নুরুন্নবী।
ড. এম নুরুন্নবী ২০১৬ সাল থেকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল স্কুলে পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে গবেষণা করছেন। সম্প্রতি হার্ভার্ড মেডিকেল পোস্টডক এসোসিয়েশন যেখানে ৫ হাজারের অধিক সদস্য এর সেক্রেটারি তিনি। পাশাপাশি বিখ্যাত ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল এসোসিয়েশন যেখানে ১৫০০ এর অধিক পোস্টডক সদস্য তার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ড. নুরুন্নবী এ পর্যন্ত প্রায় ৫০টি আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন এর ৬টি আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির এবং ৮টি ইংল্যান্ডের রয়্যাল সোসাইটি অব কেমেস্ট্রি এর বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ক্যান্সার, ডায়াবেটিকস এবং ভাইরাস জনিত রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসায় তার নিজস্ব আবিস্কারের পেটেন্ট প্রায় ১০টি। এর মধ্যে ৩টি কোরিয়া ও আমেরিকার কয়েকটি কোম্পানি লাইসেন্স করেছে। ১০০০ বার তার রেফারেন্সগুলো অন্যান্য গবেষণা প্রবন্ধে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা এলসিভিয়ের এর প্রকাশিতব্য ৪০০ পেইজের বই এর সম্পাদনার প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে আছেন।
বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার অজপাড়া গাঁ খাদইল গ্রামে নুরুন্নবীর বেড়ে ওঠা। তার ভাষায় ‘অনেক এক্সিডেন্টাল আবিষ্কারের মতো আমিও একজন এক্সিডেন্টাল গবেষক। জীবনের প্রথম ২০ বছরের কোনদিন স্বপ্নও দেখিনি গবেষক হব, পিএইচডি শুরু করার আগে কোনদিন খুঁজে দেখিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় এবং এর র্যাংকিং কত।’
তারপরও কিভাবে গবেষক হওয়া? জানতে চাইলে তার উত্তর হলো ‘সবার দোয়া, আলাহ্ তায়ালার ইচ্ছা এবং আমার নেক ইচ্ছা, সততা, কঠোর পরিশ্রম আমাকে এ পর্যন্ত এনেছে’
আমি মনে করি আমি অতিমাত্রার মেধাবী নই তবে মেধা, নেটওয়ার্কিং, কোলাবোরেশন, লেখালেখি, নতুনের সাথে সহজেই মেনে নেওয়া, বিভিন্ন পেশার লোকজনের সঙ্গে মিলে কাজ করা, এবং সাংগঠনিক কাজের অভিজ্ঞতা সব কিছু একত্রিত করে একটি কঠিন সমস্যার সমাধানের উপায় বের করা।
স্বপ্ন ছিলো বড় হবো কিন্তু সেটা কোনো বড় প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক স্বপ্ন ছিলো না। যে কারণে আমার প্রতিষ্ঠানের র্যাংকিং এর চেয়ে নিজের র্যাংকিং নিয়ে বেশি ভেবেছি এখনো ভাবি। আমি যে বিষয় নিয়ে গবেষণা করার স্বপ্ন দেখি সেই গবেষণা করার সুযোগ সুবিধা হার্ভার্ড এর চেয়ে কম র্যাংকিংয়ের কোনো প্রতিষ্ঠানও যদি দেয় তাহলে একবারও ভেবে দেখব না হার্ভার্ড থেকে সেখানে যেতে। প্রতিষ্ঠানের গুণগত মানের চেয়ে নিজের গুণগত মান অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ জীবনের এই স্টেজে এসে।
নুরুন্নবীর শিক্ষাজীবন শুরু খাদইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, হাইস্কুলে সিহালী উচ্চ বিদ্যালয়, পরে গ্রামে সদ্য প্রতিষ্ঠিত উচ্চবিদ্যালয়ে পড়েছেন। এরপরে বুরিগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে এস এস সি করেছেন। এইচএসসি শেষ করেছেন বগুড়ার আজিজুল হক কলেজ থেকে। ফার্মেসিতে স্নাতক করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা) থেকে। স্নাতকোত্তর, কোরিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ট্রান্সপোর্টেশন এ। পিএচডি ছিলো- কোরিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ট্রান্সপোর্টেশন এবং আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ইউথা থেকে। চুন্নাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্টডক করে ২০১৬ সালে আবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্টডক করছেন।
কিভাবে গবেষণায় হাতেখড়ি জানতে চাইলে নুুরুন্নবী বলেন, ২০০৩ সালে ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডাতে) ফার্মেসী বিভাগে ভর্তি হওয়া আমার জীবনের ঘুরে দাঁড়ানোর একটা টার্নিং পয়েন্ট। আমার মস্তিস্ক এখনো সেদিনকার স্মৃতিটুকু ধরে রেখেছে। তখন একবছর আগে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশের পরে এডমিশন অফিস পাঠিয়ে দেয় তখনকার ফার্মেসির কোর্স সমন্বয়ক সাজ্জাদুল বারী উজ্জ্বল স্যারের কাছে। বারী স্যারের সাথে ১০-২০ মিনিটের কথা বলার পর উনার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, অমায়িক ব্যবহার এ বিভাগে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিতে এক মিনিটও দেরি করায়নি আমাকে। সেই থেকে বারী স্যার ছিলেন মেন্টরস। মাথার ছাতার মত। পড়ালেখা থেকে শুরু করে সাংগঠনিক কাজ কর্ম এমন কিছু ছিল না যেখানে স্যারের সহযোগিতা পাইনি।
বারী স্যারের পাশাপাশি ঢাবির ফারুক স্যার, শীতেষ স্যার, জয়দেব স্যার, শওকত আলী স্যার এবং জাবির শাহাবুদ্দিন স্যার, ফারুক স্যার, সোহেল রানা স্যার, মাফরুহী সাত্তার স্যার এবং মোতাহার স্যারদের পেয়েছি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। যারা পুরো বাংলাদেশের ফার্মেসী বিভাগের অইকন ও লিডার। ইউডা জীবনের শুরু থেকে সাংগঠনিক কাজে জড়িত থাকার কারনে ইউডার প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর মুজিব খান, উপাচার্য প্রফেসর এমাজ উদ্দিন স্যারদের দেখা পেতাম প্রায়ই। তাদের উপদেশ, মোটিভেশনাল বক্তব্য যে কাউকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। ইউডার ছাত্র হয়েও এমন সব খ্যাতিমান শিক্ষকদের কাছ থেকে শিক্ষা পাবার এই সুযোগ সেই সময় অন্য কোন বেসরকারি বিশবিদ্যালে ছিল বলে আমার জানা নেই। আমি বলব স্বপ্ন দেখতে শিখেছি, কারণ ইউডায় সব ভালো মানুষদের কাছ থেকে শিক্ষা পেয়েছি। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সুযোগ কম থাকলেও আমরা জাবির শাহবুদ্দিন স্যারের ল্যাবে গবেষণা করতাম। সেখানেই আমার গবেষণায় হাতে খড়ি, বললেন নুরুন্নবী। আরও জানালেন ইউডার জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর রহমত উল্লার কথা। যিনি একজন খ্যাতিমান গবেষক। ‘যদিও ছাত্র থাকা কালীন উনার ল্যাবে গবেষণা করার সুযোগ হয়নি, তবে কোরিয়াতে পিএইচডি করা কালীন ইউডার সাথে আমার কোরিয়ার বিশবিদ্যালেয়ের একটা সমঝোতা স্মারকের সুবাদে ইউডার সাথে গবেষণা শুরু করা। সেখানেই রহমাতউল্লাহ স্যারের সঙ্গে এক সাথে গবেষণা করা। যা আমাকে একটা আন্তর্জাতিক প্যাটেন্টসহ বেশ কিছু গবেষনাপত্র প্রকাশ করতে সহায়তা করে, বলছিলেন নুরুন্নবী।
তবে নুরুন্নবীর গল্পটা কিন্তু ভিন্ন হতে পারত। ঝড়ে পড়তে পারত অন্যদের মতো। কিংবা ভিন্নমতে মিশে যেতে পারত। বাবা আবু বকর সিদ্দিক এবং মা মনোয়ারা বেগমের এক ছেলে এক মেয়ের মধ্যে নুরুন্নবী বড়। বাবা সার এবং কীটনাশক ব্যবসায়ী ছিলেন, পাশাপাশি উনার কূষি কাজের নেশা ছিলো। তার অনেক বেশি ব্যস্ততায়, মা-কে বাসার সবকিছু দেখা শুনার পাশাপাশি, মাঠে যারা কাজ করতেন তাদেরকেও তদারকি করতে হত। আর নুরুন্নবী স্কুল থেকে ফিরে, সবার জন্য কাঁধে করে খাবার-পানি নিয়ে মাঠে যেতেন, মাঝে মধ্যে তাদের সাথে নিজেও কাজে লেগে পড়তেন।
হাইস্কুল ছিল গ্রাম থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে। অন্য সময় সাইকেলে যাওয়া আসা করলে বর্ষা কালে মেঠো রাস্তায় কাদায় এত গর্ত হয়ে যেত যে, প্যান্ট হাঁটু পর্যন্ত গুটিয়ে বন্ধুদের সাথে পুরো ৫ কিলোমিটার পথ কাদা, পানি, ধান ক্ষেত মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হতো। পড়াশুনার জন্য বাসা থেকেও কোন বাড়তি চাপ ছিল না। ‘বরং রাত ১০টার পরে ঘরে আলো জ্বলা দেখলে আব্বা দোতলায় গিয়ে আলো বন্ধ করে ঘুমাতে বলতেন। নির্দেশ ছিলো “রাত জাগলে শরীর খারাপ করবে”।
কলেজের ২ বছর পরিবারের কাছ থেকে দূরে থাকায় নিজের স্বাধীনতার সঠিক ব্যবহার না করায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার সুযোগ হারায়। ঢাকায় কোচিং করতে আসা নুরুন্নবী তল্পি তল্পা গুছিয়ে ফেরত যায় গ্রামে। সবাই বলল “তোমার জীবন শেষ।” বাবা বললেন “এবার ব্যবসার হাল ধরো। এতেই তোমার জীবনের সাফল্য নিশ্চিত।” সেই দুর্দিনে মা আর বুয়েটে পড়ুয়া ফুফাত ভাই ছাড়া পাশে কেউ ছিলো না।
বেসরকারি বিশবিদ্যালয়ে পড়ার সময় অনেক কথা শুনতে হতো। কেউ বলত “নষ্ট আর বোকারাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।” ‘আমি বরাবরি এই কটু কথাগুলোকে চালিকা শক্তি হিসেবে নিয়েছি, যারা বিভিন্ন সঙ্গত বা অসঙ্গত কারনেই হোক হেয় করে কথা বলত তাদের সবাইকেই আমি ধন্যবাদ জানাই আমাকে এই পর্যন্ত আনার চালিকা শক্তি সরবরাহ কারার জন্য। বলছিলেন নুরুন্নবী।
উচ্চশিক্ষায় বিদেশ আসার পরিকল্পনা ২০০৬ সালে। কোরিয়া যাওয়া ২০০৮ এ। উদ্দেশ্য খ্যাতিমান কোনো প্রফেসরের ল্যাবে গবেষণা করা। ২০১০ সালে মাস্টার্স শেষ করে কোরিয়াতে একটি কোম্পানিতে গবেষক হিসেবে কাজ শুরু করা। ‘২ বছর পর বুঝতে পারি আমার স্বপ্ন অন্য কিছু। সেই স্বপ্নটা ছিলো উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা করা। যার জন্য প্রবাসে আসা। ২০১২ সালে অনেক মোটা বেতনের চাকুরী ছেড়ে ফুল টাইম ছাত্র হিসাবে পিএইচডি শুরু করি ছোট একটা স্কলারশিপে, যা তখনকার আমার চাকুরীর বেতনের ৪ ভাগের এক ভাগ। আমি এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম কারন আমি জানতাম আমার মন কি চায় এবং আমার মানসিক শান্তি কিসে। বলছিলেন নুরুন্নবী।’
কোরিয়া, জাপান বা আমেরিকার একজন প্রফেসর এর কাছে বা এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বাংলাদেশি কোন ছাত্র যদি ভর্তির বা স্কলারশিপের জন্য আবেদন করে তখন সেই ছাত্রের প্রোফাইলটাই গুরুত্বপূর্ণ, তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়। তাই নুরুন্নবীর পরামর্শ যে যেখানেই পড়াশুনা করুক, নিজের প্রোফাইল কে অন্যদের চাইতে বেশি আকর্ষণীয় করা এবং সে জন্য পরিশ্রম করাই গুরুত্বপূর্ণ।
সম্ভাবনাময় এই গবেষকের স্ত্রী ড. জেহেদিনা খাতুনও একজন গবেষক। কোরিয়া থেকে পিএইচডি শেষ করে বোস্টনের টাফস বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে গবেষক হিসেবে কাজ করছে এখন। একই পেশার হবার কারনে তাদের আড্ডাও অনেকটা গবেষণা কেন্দ্রিক। যা দুজনের কাছেই বেশ উপভোগ্য। আর অবসরে দুই সন্তান আরিযানা ও আনায়া কে সময় দিতে তাকেদের মনুষ্যত্ব শিক্ষা দিতেই তা বরাদ্দ থাকে।
নুরুন্নবী জীবনকে আরও গভীর ভাবে উপলব্ধি করতে শিখেছেন নিজে বাবা হবার পরে, সন্তানের জন্য পিতা-মাতার চেষ্টা, কষ্ট, ত্যাগের বিষয়েও বুঝেছেন মেয়ের প্রতি নিজের ভালোবাসা, দায়িত্বশীলতা থেকে।
অভিজ্ঞতালদ্ধ জ্ঞান থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতি তার পরামর্শ- ইংরেজি ভাষা রপ্ত করা, নেটওয়ার্কিং স্কিল বাড়ানো ও যে কোন সুযোগের সঠিক ব্যবহার করার।
তবে জীবন সম্পর্কে তার উপলদ্ধি হলো ‘আমরা বিজ্ঞানী বা শিল্পপতি যা-ই হই না কেন তবে মানুষ হিসেবে আমরা কতটা মনুষ্যত্বের অধিকারী, অন্যের বিপদে, উপকারে পাশে দাড়াতে পারছি কিনা সেটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলাদেশের জন্য তার পরামর্শ একটা কোলাবোরেটিভ গবেষণা ক্ষেত্র বা প্লাটফর্মের বিষয়ে। যেখানে একদল গবেষক কাজ করবেন নতুন নতুন টুলস এবং টেকনোলজি আবিষ্কারের জন্য। এমন একটা উৎপাদন ও ফলিত গবেষণার টিমে থাকবে ফিজিশিয়ান, ক্লিনিশিয়ান, কেমিস্ট, ফার্মাসিস্ট, ফিজিসিস্ট ও বায়োলজিস্ট। তার অভিমত এমন উদ্যমী ও যোগ্য গবেষক দেশে থাকলেও উপযুক্ত বিনিয়োগ ও সমন্বয়হীনতায় তা শুরু করা যাচ্ছে না। ‘আমি মনে করি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন ঔষুধ, বায়োমেডিকেল ও কেমিকেল কোম্পানিগুলোকে নিজেদের তাগিদেই এগিয়ে আসা উচিৎ যদি প্রতিযোগীতার বিশ্বে নিজেদের টিকে থাকতে হয়। বলছিলেন তিনি।