বিডিফিচার ডেস্কঃ জাতীয় পাট দিবসে বাজারে এল প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্য প্রকাশিত গবেষণাধর্মী বই ‘পাটশিল্পের ইতিহাস: বিশ্ব বাণিজ্যের দুই শতাব্দী’। বইটি লিখেছেন লেখক ও গবেষক জাকারিয়া পলাশ। ১৬০ পৃষ্ঠার এ বইটিতে লেখক পাটশিল্পের ইতিহাস বর্ণনা করেছেন। সেই সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে বাংলার পাট কিভাবে ইয়োরোপের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান অর্জন করেছিল। কীভাবে পাটের ব্যাগ বিশ্বপণ্যের ধারক বা ক্যারিয়ার অব দ্য ওয়াল্ড প্রডাক্টস হিসেবে সারা বিশ্বে যায়গা করে নিয়েছিল তার নানা দিক।
বিশ্ববাণিজ্যের পাশাপাশি রাজনৈতিক অবস্থার সঙ্গে এর উত্থান-পতনের কারণও অনুসন্ধান করা হয়েছে এই গ্রন্থে। ডান্ডি থেকে কলকাতা, কলকাতা থেকে ঢাকায় পাটশিল্পের কেন্দ্রের স্থানান্তরের কারণ আলোচনা, সেই সঙ্গে বৃটিশ, পাকিস্তান, বাংলাদেশে পাটকে কেন্দ্র করে নানা নীতি-কৌশল ও তর্ক-বিতর্কের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেছেন তাঁর লেখায়। অতীত পেরিয়ে বর্তমানের পাট ও পাটশিল্প, দেশ ও বিদেশের বাজারে এর সংকট ও সম্ভাবনাগুলোর তথ্যবহুল বিশ্লেষণও করা হয়েছে। বাংলাদেশ পাট শিল্প নিয়ে দীর্ঘ সময়ের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতার সমন্বয় করে এ গ্রন্থটি লিখেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে লেখক জাকারিয়া পলাশ বিডিফিচারকে বলেন, ‘আমি ২০১৬-১৮ সময়কালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাটশিল্প বিষয়ে অনেক প্রতিবেদন লিখেছি। সে সময়ই এ শিল্প নিয়ে জানার ও লিখার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিল। অনেক তথ্য ও নথিপত্র তখন থেকেই সংগ্রহ করে রেখেছিলাম। এবার পান্ডুলিপিটি লেখা শেষ হলে ঐতিহ্য সেটি প্রকাশের বিষয়ে আগ্রহী হয়। বইটির ছাপানোর সকল প্রক্রিয়া শেষ। জাতীয় পাট দিবসকে মাথায় রেখে ৬ মার্চ থেকে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ঐতিহ্যের প্যাভিলিয়নে বইটি পাঠকদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।’ ১৬০ পৃষ্ঠার এ বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। এর মূল্য রাখা হয়েছে ৩২০ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে সূচীপত্র থেকে প্রকাশিত ‘কাশ্মীর: ইতিহাস ও রাজনীতি’ গ্রন্থের মাধ্যমে লেখক হিসেবে পরিচিতি পান জাকারিয়া পলাশ। ভারত শাসিত কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাশ্মীর ও দক্ষিণ এশিয়া অধ্যয়ন বিষয়ে এমএ ডিগ্রি নিয়েছিলেন লেখক। কাশ্মীরে তার অধ্যয়ন ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে তিনি লিখেছিলেন তার প্রথম বইটি। পরে ২০১৯ সালে সূচীপত্র থেকে প্রকাশিত হয় ‘ভুস্বর্গে এক টুকরো বাংলাদেশ’ এবং ২০২০ সালে ঐতিহ্য থেকে তার ‘বঙ্গবন্ধু ও শের-এ-কাশ্মীর’ প্রকাশিত হয়। এছাড়া বাংলাদেশ ও এর প্রতিবেশী অঞ্চলগুলোর মানুষ, সমাজ ও রাজনীতি নিয়ে বিভিন্ন দেশি-বিদেশী জার্নাল ও গণমাধ্যমে নিয়মিত লেখালেখি করেন লেখক।