আব্দুল্লাহ আল মামুন:
নতুন এক যাত্রার শুরুতে যখন শিক্ষার্থীরা প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় পা রাখে, তখন তাদের অভ্যর্থনা জানানোর আয়োজনও হয়ে ওঠে একটি স্মরণীয় মুহূর্ত। প্রতিবারের মত এবারও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে এক সাজ সাজ রব পড়েছে।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করতে ২৭ অক্টোবর (রবিবার) দিনটিকে কেন্দ্র করে চলছে ব্যস্ত প্রস্তুতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি বিভাগেই সাজসজ্জা থেকে শুরু করে আল্পনা অঙ্কন, সবকিছুতেই ফুটে উঠছে নবীনদের প্রতি উষ্ণ অভ্যর্থনার পরশ।
নতুন শিক্ষার্থীদের পদচারণাকে সামনে রেখে শনিবার থেকেই বিভাগের শ্রেণিকক্ষ সাজানো, দেয়ালে থিম অনুযায়ী ছবি আঁকা ও মনীষীদের উক্তি এবং প্রেষণামূলক বাক্য লেখার কাজ চলছে পুরোদমে।
একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের ১৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সোরভ কাব্য নবীনদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, “আমরা সিনিয়র হিসেবে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে চাই। এজন্য বিশেষ সাজসজ্জা এবং ছোট উপহারের ব্যবস্থা করেছি, যাতে ফুল দিয়ে নবীনদের বরণ করা যায়। নবীনদের জন্য গানের আসরও আয়োজন করা হবে, যা তাদের প্রথম ইম্প্রেশনকে আরো স্মরণীয় করে তুলবে।” তিনি আরো জানান, “আমরা নবীনদের বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যাম্পাস সম্পর্কে ধারণা দিতে চেষ্টা করব, যাতে তাদের নতুন যাত্রা সহজ হয়,”
লোক প্রশাসন বিভাগের ১৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মুরসালিনা আক্তার মুন্তাহা জানান, “গত বছরগুলোতে প্রচলিত ম্যানার শেখানোর নামে যে রাগিং কালচার ছিল, আমরা সেটি অনুসরণ করতে চাই না। বরং আমরা একটি পরিবারিক পরিবেশ তৈরি করতে চাই, যেখানে সিনিয়র ও জুনিয়ররা সম্মিলিতভাবে একসাথে থাকবে।” তিনি নবীনদের পড়াশোনা যেন কোনোভাবে ব্যাহত না হয় এবং শিক্ষক ও সিনিয়রদের প্রতি সম্মান বজায় রাখা জরুরি বলে উল্লেখ করেন।
ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং ১০ম আবর্তনের শিক্ষার্থী তাসফিক জাহিন রাফি বলেন, “আমাদের ডিপার্টমেন্টে কোনো র্যাগিং সংস্কৃতি নেই। ভিসি স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী চলার চেষ্টা করছি এবং অতিথিদের সম্মান জানিয়ে বিদায় দেওয়ার পর আমাদের পড়াশোনা শুরু হবে।” তিনি ক্যাম্পাসে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেন। সিনিয়রদের কাছ থেকে বই পেয়ে তারা যেমন উপকৃত হয়েছেন, এবারে নবীনদের জন্য চাবির রিং, নোট এবং কিছু উপদেশমূলক বাক্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান।