সময়ের সাথে নিজেকে পরিবর্তন করা কেন জরুরি?

অনুবাদক: সাইয়্যেদ নুরসী

কর্ম সফলতার চাবিকাঠি। সুন্দর ও কঠোর পরিশ্রমের ফসল সুখকর হয়। তবে কাজের ফল লাভের সাথে জড়িয়ে আছে কিছু শর্ত যা উপেক্ষা করলে প্রত্যাশিত ফল লাভ করা যায় না। কোনো কাজে আশানুরূপ ফল লাভের জন্য মাথায় রাখতে হবে এমন ১০টি শিক্ষণীয় বিষয় Richard Themplar এর বেস্ট সেলার Rules of work বই থেকে তুলে ধরা হল;

১. কথা মত কাজ করুন।
যেই কথা সেই কাজ হোক প্রতিপাদ্য। সবাইকে জানিয়ে দিন আপনি মুখে যা বলেন তা করেন। ওয়াদা দিয়ে ভঙ্গ করেন না। সব সময় এই আদর্শ মেনে চলুন।

২. পরিকল্পনা রাখুন।
যে অবস্থায়ই থাকেন, যাই করেন, পরিকল্পনা মাফিক করেন। মাস, বছর, স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করুন। সে অনুযায়ী এগিয়ে যান।

৩. নিজের জন্য উপযুক্ত বলয় তৈরি করুন।
যে কাজ করেন সে বিষয়ে আপনার পরিচিতি পাকাপোক্ত করে নিন। এটা নিশ্চিত করুন যে আপনার যে দক্ষতা আছে তা খুব কম মানুষের আছে বা অন্য কারো নেই। সবাই যা করছে তাতে জড়াবেন না। বিশেষ কিছু করুন।

৪. দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যের দিকে খেয়াল রাখুন।
আপনার দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যের প্রতি এক মুহূর্তের জন্যও অমনোযোগী হতে পারবেন না। পরিকল্পনার নকশায় নজর রাখতে হবে। এ জন্য বিশ্রাম ও আলসেমি পরিহার করতে হবে। আনন্দ-ফুর্তি করে বেড়ানোর সুযোগ নাই।
আপনাকে পলাতক অপরাধীর মতো সতর্ক থাকতে হবে। তারা ছদ্মবেশে সবার মাঝে থাকে আর সুবোধ বালকের নেয় আইনকানুন মেনে চলে। কেননা ছোট অপরাধ লঙ্ঘন করে শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসলে বড় আইনের শাস্তি এড়াতে পারবেন না। একইভাবে ছোট ভুল করে বড় খেসারত দেওয়ার মত কাজ করবেন না। সুতরাং আপনি কি করেন ও কি বলেন সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

৫. অন্যদের ভুল থেকে শিখুন।
বুদ্ধিমানরা নিজের ভুল থেকে শেখে কিন্তু জ্ঞানীরা অন্যের ভুল থেকে শেখে। অন্যের ভুল থেকে শিক্ষা নিন। অন্যরা ভুল করলে তা কীভাবে শুধরে নেয় এ নিয়ে গবেষণা করুন এবং নিজেকে সমৃদ্ধ করুন।

৬. গ্রহণযোগ্য মনোভাব গড়ে তুলুন।
আশাবাদী হন, ইতিবাচক থাকুন। আপনার সহকর্মী, বন্ধু এবং পরিচিতদের সাথে ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন। সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি আপনার জীবনে সঠিক মানুষকে কাছে টানতে সাহায্য করবে।

৭. হাসিমুখে থাকুন।
যখন ঝুঁকিতে থাকেন, হাসুন। যে পরিস্থিতিতেই থাকেন, হাসুন। অকৃত্রিম ও বন্ধুসুলভ হাসি ঠোঁটের কোনায় ধরে রাখুন যার মাধ্যমে আন্তরিকতা, সরলতা, সততা, উদারতা ও সুখের প্রকাশ ঘটে। হাসি আপনার কর্মপরিবেশকে আপনার নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

৮. ঠান্ডা মাথায় থাকুন।
কর্মক্ষেত্রে আপনাকে সর্বদা শান্ত থাকা জরুরি। যা কিছুই ঘটুক শান্ত থাকুন। মান-সম্মান হারালেও উত্তেজিত হবেন না। কোন অনুষ্ঠানে অন্যের সাথে হাসি তামাশা করুন কিন্তু ফালতু কথা থেকে দূরে থাকুন।

৯. ভালোভাবে কথা বলুন
আপনি আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে পারেন। এটা সমস্যা নয়। মনে রাখবেন ভাষার মূল কাজ যোগাযোগ রক্ষা করা, তথ্য আদান প্রদান করা। তাই এমনভাবে গুছিয়ে ও স্পষ্ট করে কথা বলুন যাতে সবাই বুঝতে পারে। আপনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা তুচ্ছ বিষয়ে কথা বলতে পারেন। তবে ম্যাসেজটা যেন শ্রোতা বুঝতে পারে।

১০. নিজের শক্তি এবং দুর্বলতা সম্পর্কে ধারণা রাখুন।
আপনি যদি বিজয়ী হতে চান, তাহলে নিজের সম্পর্কে অবশ্যই বস্তুনিষ্ঠ হতে হবে। আপনার দুর্বলতা ও শক্তির জায়গাগুলো বুঝতে হবে। অনেক মানুষে এগুলো বুঝতে পারে না। তারা নিজেদের উপর অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে না। কারণ তারা নিজেদের জন্য অন্যের দৃষ্টিতে কখনো দেখার চেষ্টা করে না। বাস্তবতা হিসাব করে কাজ করতে হবে। আমাদের প্রত্যেকের একটি বাহ্যিক রূপ আছে। যেমন: আমরা দেখতে-শুনতে কেমন, আমরা কীভাবে কাজ করি। মানসিকভাবে এসবের আলোকেই সবকিছু কল্পনা করি। কিন্তু এই রূপ কতটা বাস্তব?

- Advertisement -

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version