অনুবাদক: সাইয়্যেদ নুরসী
“আমি কঠিন কাজ করতে অলসদের নিয়োগ দিই, কারণ তারা সেটি করতে একটা সহজ পদ্ধতি আবিষ্কার করে”: বিল গেটস। বিল গেটস অলস এই অর্থে বলেছেন যে তারা কাজের কঠিন পদ্ধতিগুলো এড়িয়ে শট কাট সহজ পদ্ধতি আবিষ্কারে ব্রেইন খাটায়। অর্থাৎ এ ধরনের কর্মীগণ কাজ কম করেন কিন্তু চিন্তা করে এমন পদ্ধতি বের করেন যা অধিকতর কঠিন কাজকেও নিমিষেই করে ফেলা যায়। এই যোগ্যতাকে বলে সৃজনশীলতা যার উৎপত্তি মগজ বা মনে। তাই সময়কে কাজে লাগোনো যতটা জরুরি তার চেয়ে ঢের প্রয়োজন মনকে কাজে লাগানো। কেননা মনকে ম্যানেজ করে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা কর্ম উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারি। আসুন সংক্ষেপে এই প্রক্রিয়া জেনে নেই David Kadavi এর “???????????????? ???????????????????????????????????????? ???????????? ???????????????? ????????????????????????????????????????” বই থেকে।
১. কোন কাজ করতে সাধারণত যে সময় লাগে তার চেয়ে কম সময়ে করতে চান? আপনার মনকে ম্যানেজ করুন। সময় ম্যানেজ করে এই ফল লাভ করতে পারবেন না।
২. সময় ম্যানেজ করার মাধ্যমে সময়ের সাথে সম্পৃক্ত বিষয় সমূহকে সর্বোত্তম উপায়ে ব্যবহার করার উপযোগী করা হয়। আর মন ম্যানেজ করার মাধ্যমে সৃজনশীল শক্তির উপাদানসমূহকে সর্বোত্তম উপায়ে ব্যবহার করে কোন কাজে সর্বাধিক অর্জন আশা করা যায়।
৩. পরিবেশ পরিস্থিতির বিচারে সবসময় একই রকম নয়। আপনি যদি দৈনিক একঘণ্টা করে লেখেন, তবে এক বছরে হয়ত একটা বই রচনা করতে পারবেন। কিন্তু একাধারে ৩৬৫ ঘণ্টা লিখে এই রকম ফলাফল পাবেন না।
৪. দিনের শুরুর সময়টা আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যয় করুন।
৫. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ দিয়ে দিন শুরু করলে দেখবেন আপনার অন্যান্য কাজ বাদ পরার সম্ভাবনা কমে গেছে।
৬. মনে রাখবেন, কখনও আপনার মন সৃজনশীলভাবে চিন্তা করার জন্য অধিকতর উপযুক্ত, আবার কখনও উপযুক্ত বিশ্লেষণমূলক চিন্তা করার জন্য।
৭. জীবনকে প্রদত্ত সময়ে পূর্ণ করার জন্য সময় নির্দিষ্ট নয়। সময় হল জীবনের পথপ্রদর্শক, যার মাধ্যমে আমরা পরিপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারি।
৮. শিক্ষা জীবন এক বছর বৃদ্ধি করলে যতটুকু কর্মদক্ষতা বাড়ে, দৈনিক ঘুম গড়ে এক ঘণ্টা বৃদ্ধি করলে কর্মদক্ষতা তার চেয়ে বেশি বাড়ে।
৯. আপনি যদি যখন-তখন এক কাজ ছেড়ে অন্য কাজ ধরেন তাহলে আপনার শক্তি অহেতুক অপচয় হবে। সব সময় এভাবে কাজ করলে আপনার শক্তির খুব সামান্যই ফলদায়ক হবে।
১০. হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যথেষ্ট মেধাবী ও জ্ঞানী হলেও একজন কর্মীর কর্মব্যস্ততা তার সৃজনশীলতা কমিয়ে দেয়। এই সমীক্ষা আরো বলছে, একজন কর্মী যতই প্রজ্ঞাবান হোক, অধিক কর্মব্যস্ততা কোন বিষয় নিয়ে তাকে গভীরভাবে চিন্তা করার সুযোগ দেয় না। ফলে তারা সৃজনশীল কিছু করতে পারে না। ঐ গবেষণার একটি প্রতিবেদন বলেছে, সেই ব্যক্তিও কম সৃজনশীল যিনি কোন বিষয়কে সঠিক ও গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারেন না।
১১. কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ সৃজনশীল চিন্তা করার ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, কোন কর্মস্থলে ৭৫ ডেসিবেল ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ থাকলে তা সেখানে চিন্তা করে কোন বুদ্ধি বেড় করার প্রক্রিয়াকে শতভাগ বাধাগ্রস্ত করে।
১২. কোন কিছু তৈরি করা কঠিন বিষয় নয় বরং তা তৈরি করার জন্য যথাযথ চিন্তাভাবনায় মনোনিবেশ করতে আমাদের মনকে প্রস্তুত করাই কঠিন বিষয়।