রকিবুল হাসান
পরনির্ভরশীলতার শেকল ভেঙে নিজ উদ্যোমে এগিয়ে যাচ্ছে তরুণরা। নিজ উদ্যোগে তৈরি করছে আত্মকর্মসংস্থান। সম্ভাবনার দুয়ার খুলে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় তারা হয়ে উঠছে আরো আত্মবিশ্বাসী। তেমনই একজন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী আজহারুল ইসলাম। সুগন্ধি বিক্রি করে নিজ ক্যাম্পাসেই গড়ে তুলেছেন কর্মসংস্থান।
শখের বসে সুগন্ধি সংগ্রহ করতে করতে নেমে পড়েন এ ব্যবসায়। পরিবার-পরিজনের সমর্থনে ডানা মেলতে থাকে তার এ ব্যবসা। যখনই ক্লাস শিডিউল ফাঁকা থাকে ঠিক তখনই ক্যাম্পাসে নানা ধরনের সুগন্ধির পসরা সাজিয়ে বসে পড়েন তিনি। ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত দামের সুগন্ধি রয়েছে তার কাছে। পরিচিত শিক্ষার্থীরাই বেশিরভাগ তার এসব সুগন্ধি (আতর) কিনে থাকেন। তাছাড়া তার গ্রাহকের তালিকায় আছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী।
আত্মকর্মসংস্থানের উপকরণ হিসেবে সুগন্ধি বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে আজহার জানান, ‘সুগন্ধি (আতর) সংগ্রহের নেশা থেকেই মূলত ব্যবসা শুরু করি। অনেক বড় ভাই, বন্ধুরা বিভিন্ন সময় আতর আনতে বলতো। এভাবেই প্রথমে কিছু অর্ডার নেই। পরবর্তীতে একটি ফেসবুক পেইজ খুলে কমেন্টের ছলে নানান জায়গায় বিজ্ঞাপন দিতে থাকি। এভাবেই ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে যায়। এগুলো বিক্রি করে আলহামদুলিল্লাহ ভালো একটা অ্যামাউন্ট পাই। যা দিয়ে আমার সকল খরচ চলে যায়।
বর্তমানে ক্যাম্পাসে তার আতরের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং বেশিরভাগ আতরই অয়েলি। বিভিন্ন ব্রান্ডের র-সেন্ট মিক্স করে বানানো হয় এ আতর। নিজের সংগ্রহে সবসময় ৫০ ধরণের আতর রাখেন তিনি। অনলাইন অর্ডারে পাওয়া যায় প্রায় ২০০ ধরণের আইটেম।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং পরিবারের সমর্থন নিয়ে তিনি জানান, ‘ভবিষ্যতে আল্লাহ যদি ভালো কিছু কপালে রাখেন তাহলে সুগন্ধি ব্যবসা বড় করার ইচ্ছা আছে। আমার জন্য বড় করা সহজ কারণ এতে আমার বাবা-মা সবসময়ই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া যেকোনো প্রয়োজনে সাহায্য করছেন। এছাড়া আমার বন্ধুবান্ধব, সিনিয়র ভাই তারা সবসময়ই অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ আমি ভবিষ্যতে এটা আরো বড় করতে পারবো।’
লেখক: শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।